দ্য গোল্ডেন টাইম ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল….

দ্য গোল্ডেন টাইম ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল….

দ্য গোল্ডেন টাইম ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এই বছর তৃতীয় বর্ষে পদার্পণ করল। ৪৭টি ফিল্ম প্রদর্শনের জন্য মনোনীত হয়েছিল ।

মনোনীত ফিল্মগুলো প্রদর্শিত হয়েছিল তপন থিয়েটারে। রামমোহন হলে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে এই ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের পুরস্কার বিতরণী পর্ব অনুষ্ঠিত হল। সমগ্র অনুষ্ঠানের আয়োজনে ছিলেন দ্য গোল্ডেন টাইম ফরএভার গ্ল্যাম প্রোডাকশন হাউসের কর্ণধার অমিত ঘোষ এবং প্রধান উপদেষ্টা মনোরমা ঘোষ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলঙ্কৃত করেছিলেন অভিনেতা সন্দীপ দে এবং বর্ষীয়ান পরিচালক সুশান্ত পাল চৌধুরী। জগন্নাথ বন্দনা দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভসূচনা হয়। নৃত্য পরিবেশন করেন আর.সি.এ এন্টারটেইনমেন্ট স্টুডিওর স্টুডেন্টরা।

অমিত ঘোষের পরিচালনায় ‘বাংলা আমার মা’ নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। শর্মিলি বিশ্বাসের ড্যান্স ট্রুপ পরিবেশন করে নৃত্যানুষ্ঠান ‘স্বাধীনতা’। রেওয়া ফিল্মসের পরিবেশনায় মঞ্চস্থ হল ‘পাকা দেখা’ ও ‘শহরের মুখ’ শ্রুতিনাটক দুটি।
অনুষ্ঠানে মিউজিক ভিডিও ক্যাটাগরিতে সঞ্জিতা চাঁদ ‘নৃত্য তোমার যে ফুল ফোটে’ এবং সঞ্চারী ভট্টাচার্য ‘এক দেখাতে এতো আপন’ এর জন্য বেস্ট সিঙ্গার এওয়ার্ড পেলেন। তুষার কুমারের ‘সিঁদুর’ ও ডঃ শোভন ব্যানার্জীর ‘আমার হৃদয় তোমার আপন হাতের দোলে’ পেল বেস্ট প্রোডাকশন। প্রজ্ঞাবন্তী ব্যানার্জী বিশ্বাসের ‘ওগো শোনো কে বাজায়’ পেল বেস্ট মিউজিক ভিডিও ইন রবীন্দ্রসঙ্গীত। গৌরাঙ্গ ভূঁইয়ার ‘তুমি নিজের মুখে বলেছিলে’ পেল বেস্ট সিনেমাটোগ্রাফার। বেস্ট মিউজিক ভিডিও এওয়ার্ড পেল অনুরাগ আচার্যর ‘নিঠুর মনোহর’। প্রদীপ চ্যাটার্জীর ‘তোর প্রেমে পড়ে’ বেস্ট এন্টারটেনিং মিউজিক ভিডিও এওয়ার্ড পেল। শর্ট ফিল্ম ক্যাটাগরিতে ‘অজানা আতঙ্ক’র জন্য ডঃ অরুণ চট্টোপাধ্যায়, দুঃস্থ শিল্পীর জন্য তুষার কুমার, ‘প্রেম পূজারীর জন্য’ প্রদীপ চ্যাটার্জী বেস্ট স্টোরি রাইটার এওয়ার্ড পেলেন। শুভঙ্কর সাউয়ের ‘দেখেছি রূপসাগরে’ এবং বিক্রম দেব সেনগুপ্তের ‘আমার উমা’ বেস্ট স্টোরি নির্বাচিত হল। সৌরভ চক্রবর্তীর ‘রিক্তা’ পেল বেস্ট হরর ফিল্ম। তুষার কুমারের ‘যে দিন তুমি বুঝবে’ বেস্ট কনসেপ্ট এবং মণি ধর দাসের ‘ভুল বুঝো না আমায়’ বেস্ট লাভ স্টোরি নির্বাচিত হল। গৌরাঙ্গ ভূঁইয়ার ‘এই তো জীবন’, দেবায়ন সাহার ‘তাহাদের জীবন’ এবং সুরজিত জানার ‘এডিকশান’ বেস্ট সোশ্যাল এওয়ারনেস ফিল্ম এওয়ার্ড পেল। ‘চাহিদা’র জন্য সত্যেন সরকার পেলেন জুড়িস চয়েস এওয়ার্ড। মণি ধর দাসের ‘সাগর নদী’ এবং সত্যেন সরকারের ‘সন্দেহ’ পেল বেস্ট ড্রামা ফিল্ম এওয়ার্ড। রীতা ঘোষের ‘পৌরুষ’ ও বিভাঞ্জন সিনহার ‘মাটির পুতুল’ পেল বেস্ট ওম্যান এমপাওয়ারমেন্ট ফিল্ম। বেস্ট সাপোর্টিং এক্ট্রেস এওয়ার্ড পেলেন ‘নবদিশা’র জন্য সুকন্যা সরকার এবং ‘অজানা আতঙ্ক’ ফিল্মটির জন্য শতরূপা মুখার্জী। বেস্ট স্ক্রিনপ্লে এওয়ার্ড পেলেন ‘অবহেলার ভালোবাসা’র জন্য সত্যেন সরকার। বিক্রম দেব সেনগুপ্তের ‘বন্ধু চল’ পেল ক্রিটিক্স চয়েস এওয়ার্ড। শিশির মজুমদার ‘সেলফি বিভ্রাট’ এর জন্য পেলেন বেস্ট আর্ট ডিরেক্টর এওয়ার্ড। বিক্রম দেব সেনগুপ্তের ‘খুচরো টু’ পেল বেস্ট কমেডি ফিল্ম। ‘ভাইরাস’ ফিল্মটির জন্য শ্রীকান্ত ভট্টাচার্য পেলেন বেস্ট এক্টর এবং ‘কালরাত্রি’ ফিল্মটির জন্য স্মৃতি ভট্টাচার্য পেলেন বেস্ট এক্ট্রেস। ‘সিক্সথ ডাইমেনশন’ এর জন্য সুবীর মন্ডল এবং ‘শেষ রাতের যাত্রী’র জন্য সুমন বর্ধন পেলেন বেস্ট এডিটর এওয়ার্ড। ‘স্বপ্নের রংমশাল’ এর জন্য মণিকুন্তল দে পেল বেস্ট চাইল্ড এক্টর এওয়ার্ড। সত্যেন সরকারের ‘অন্তরের মণি’ পেল বেস্ট স্ক্রিপ্ট রাইটার এওয়ার্ড। বেস্ট মিউজিকাল শর্ট ফিল্ম নির্বাচিত হল শুভঙ্কর সাউয়ের ‘এ পুজো ভোরবেলাতে’। বেস্ট সাপোর্টিং কমেডি ক্যারেক্টর পেলেন রূপা ভদ্র ‘সেলফি বিভ্রাট’- এর জন্য। বেস্ট প্রোডাকশন এওয়ার্ড পেল ‘হ্যাপি বার্থ ডে’র বিভাঞ্জন সিনহা। মাইক্রো ফিল্ম ক্যাটাগরিতে ‘সবুজ পৃথিবী’র জন্য বেস্ট স্ক্রিপ্ট রাইটার এওয়ার্ড পেলেন অরুণিমা চ্যাটার্জী। বেস্ট অডিও স্টোরি অশোকা চক্রবর্তীর ‘শেষ ঠিকানা। বেস্ট এক্সপেরিমেন্টাল ফিল্ম সুরজিৎ জানার ‘মাস্ক’। ফিচার ফিল্ম ক্যাটাগরিতে ‘প্রতিবিম্ব’ ফিল্মটির জন্য পূজা মৈত্র, ‘জ্যোৎস্না অরণ্য’ ফিল্মটির জন্য সৌরভ চক্রবর্তী, ‘মন মন রে আমার’ এর জন্য পারমিতা রাহা হালদার পেলেন বেস্ট স্টোরি রাইটার এওয়ার্ড। ‘নীড় ভাঙা এক পাখি’র জন্য বেস্ট স্ক্রিনপ্লে এওয়ার্ড পেলেন নব্যেন্দু সামন্ত। ‘প্রতিবিম্ব’ ফিল্মে অভিনয়ের জন্য বেস্ট এক্টর এওয়ার্ড পেলেন নির্মাল্য বিশ্বাস। ‘সীতাহার অন্তর্ধান রহস্য’ ফিল্মটির জন্য ত্রিভুবনজিৎ মুখার্জী পেলেন বেস্ট ফিচার ফিল্ম এওয়ার্ড। ‘স্বপ্নের রংমশাল ‘ ফিল্মটির জন্য বেস্ট ডেবিউট্যান্ট এক্টর এওয়ার্ড পেলেন আদৃত মজুমদার, আর্যনীল রায় চৌধুরী এবং বেস্ট ডেবিউট্যান্ট এক্ট্রেস এওয়ার্ড পেলেন নামিষা দাস। ‘সবুজ পৃথিবী’র জন্য বেস্ট ডেবিউট্যান্ট এক্টর হলেন আরুশ সরকার এবং বেস্ট ডেবিউট্যান্ট এক্ট্রেস হলেন সৌম্যদীপ্তা দে, তিস্তা গোস্বামী, ঋদ্ধিমা দাস। অনুষ্ঠান শেষে কেক কেটে ফেস্টিভ্যাল ডিরেক্টর অমিত ঘোষের জন্মদিন পালন করা হয়। অমিত ঘোষ জানালেন, বহু দূর দূরান্ত থেকে যেভাবে সিনেমাপ্রেমী মানুষেরা হল ভরিয়ে দিয়েছিলেন তাতে তিনি কৃতজ্ঞ।

CATEGORIES
Share This

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus ( )