
গ্রামীণ সেবাকেন্দ্র মন্মথপুর প্রণব মন্দির এক অভিনব সাত্বিক ভাবনায় সাংস্কৃতিক মঞ্চ “প্রণবাঞ্জলি অ্যাপ” এবং ইউটিউব চ্যানেল “যুগের প্রণববাণী” স্থাপনে প্রয়াসী হয়েছে।
ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সংস্থাপক যুগাবতার শ্রীমৎ স্বামী প্রণবানন্দজী মহারাজের নররূপে আবির্ভাব ও দিব্যজীবন চর্চাকে সমাজ জীবনে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য নিয়ে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের গ্রামীণ সেবাকেন্দ্র মন্মথপুর প্রণব মন্দির এক অভিনব সাত্বিক ভাবনায় সাংস্কৃতিক মঞ্চ “প্রণবাঞ্জলি অ্যাপ” এবং ইউটিউব চ্যানেল “যুগের প্রণববাণী” স্থাপনে প্রয়াসী হয়েছে।

স্বামী প্রণবানন্দজী মহারাজকে নিয়ে ইতিপূর্বে বহু বিদগ্ধ সন্ন্যাসী ও পন্ডিত গান লিখেছেন, সুর দিয়েছেন এবং গীতের মাধ্যমে মননে, চিন্তনে কর্মধারায় অনুকূল পরিবর্তন এনেছেন। আজ ভিন্ন সাধের কিছু গান আগামী দিনে স্বামী প্রণবানন্দজী মহারাজের পৃথিবীতে আবির্ভাব ও জনমানসে তাঁর সুচিন্তন ভাবনার প্রতিফলন ঘটাবে বলে আমাদের মনে হয়েছে । সম্পুর্ন নব আঙ্গিকে শ্রীশ্রী গুরুকৃপা প্রাপ্ত হয়ে অনুভব হাজরার ও আচার্য্য সঞ্জয় চক্রবর্তী’র সঙ্গীত রচনা এবং আচার্য্য সঞ্জয় চক্রবর্তী’র সুর সংযোজনায় ২০টি বাংলা ও তার ২০টি হিন্দি গান প্রতিভাবান শিল্পীদের কন্ঠে পরিবেশিত সঙ্গীত সংকলনের প্রথম ১০টি বাংলা গান ও ১টি হিন্দি গান আজ প্রকাশিত হয়েছে । বর্তমান ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রধান সম্পাদক স্বামী বিশ্বাত্মানন্দজী মহারাজ এই সঙ্গীত সংকলনের শুভ উদ্বোধন করেন এবং মহতি কর্ম উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন । তিনি বলেন স্বামী প্রণবানন্দজী মহারাজ সমাজের সর্বস্তরে সমানভাবে সমাদৃত তার মহান কর্ম কান্ডের মাধ্যমে ।

আজ এই সঙ্গীত সংকলন সঙ্ঘের ভক্তকুল ও জনমানসে আধ্যাত্মিকতায় ও কর্মক্ষেত্রে বিশেষ প্রভাব ফেলবে । তিনি আরও বলেন এই মহতি উদ্যোগের দৃঢ় অঙ্গীকার, প্রয়াস ও সঙ্গীত সংকলনে সমস্ত শিল্পীর সাফল্য শ্রীশ্রী গুরুমহারাজের কৃপায় আগামী দিন বিস্তার লাভ করবে। সঙ্গীত সংকলনের সবথেকে আকর্ষনীয় সঙ্ঘবাণী, সাধন সিদ্ধবাণী এবং হিন্দু মিলন মন্দির পাঁচালি নিয়ে গানগুলি । এই সঙ্গীত সংকলনে মন প্রাণ দিয়ে সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন আচার্য্য সঞ্জয় চক্রবর্তী, রেশমী চক্রবর্তী, প্রাঞ্জল বিশ্বাস, বিশাখ জ্যোতি, সৌরিক, অয়েন্তিকা ও অন্যান্য শিল্পীরা । পরবর্তী সংকলনে কিঞ্জল চ্যাটার্জী , সৃজন চ্যাটার্জী , অঙ্কন , অঙ্কিতারা কন্ঠ মেলাবেন । আয়োজক মন্ডলীর লক্ষ্য আগামী দিনে স্বামী প্রণবানন্দজী মহারাজের দিব্যভাবের প্রচার ও প্রসারের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে নিয়ে যাওয়া ।
